অপারেশন সার্চলাইট নামের নীলনকশা অনুযায়ী একাত্তরের ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী অতর্কিত হামলে পড়েছিল নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। নির্বিচারে শুরু করেছিল তারা গণহত্যাসহ মানবতা-বিরোধী অপরাধ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গেই (২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে) ব
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালি জনসাধারণের ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই হিংস্র পাকিস্তানি সেনারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রেখেছিল সব বিদেশি সাংবাদিককে। পরের কয়েক দিন ঢাকায় তো কোনো সংবাদপত্রই প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি সংবাদপত্রের অফিস।
একাত্তরের এই দিনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। অজুহাত হিসেবে পাকিস্তানের উভয় অংশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র লিখিত ঘোষণায় বলেন, ‘দেশের উভয় অংশের রাজনৈতিক দলগুলীর মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ
১৯৭১ সালের ২০ মার্চ সকালে ঢাকায় প্রেসিডেন্ট ভবনে কঠোর সামরিক পাহারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের মধ্যে চতুর্থ দফা বৈঠক হয়। বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর ছয়জন শীর্ষস্থানীয় সহকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। পরদিনের সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় গ
এক দিন বিরতির পর ১৯ মার্চ ঢাকায় প্রেসিডেন্ট ভবনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও আওয়ামী লীগপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে তৃতীয় দফা আলোচনা হয়। ১০ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে অন্য কেউ ছিলেন না। সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ভবনে উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক হয়।
পরপর দুদিন মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠকের পর পরবর্তী বৈঠকের কোনো সময় নির্ধারিত না হওয়ায় জনমনে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। একাত্তরের ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার কোনো বৈঠক হয়নি। দিনব্যাপী জনতার মিছিলের পর রাতে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়, পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রেসিডেন্ট ভবনে আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট ইয়
১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চের ১৭ তারিখ বুধবার ছিল মুক্তিকামী বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫১তম জন্মবার্ষিকী। অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ এ দিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মিছিল করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে
একাত্তরের উত্তাল মার্চের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সামরিক আইন প্রত্যাহার চাওয়ার পাশাপাশি বাঙালিদের ওপর গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধ করাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এর জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবি করেছি
একাত্তরের উত্তাল মার্চের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সামরিক আইন প্রত্যাহার চাওয়ার পাশাপাশি বাঙালিদের ওপর গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধ করাসহ বিভিন্ন নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এর জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবি করেছি
১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতেও সারা দেশে অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ ছিল বন্ধ। সব সরকারি ভবন, হাটবাজার এমনকি পাড়া-মহল্লায়ও উড়ছিল প্রতিবাদের কালো পতাকা। কোথাও কোথাও বাংলাদেশের নতুন পতাকাও উড়তে থাকে। মহল্লায় মহল্লায় গড়ে উঠছিল সংগ্রাম কমিটি। সব বয়স, পেশা ও শ্রেণির মানুষ বেরিয়ে আসছিল রাজপথে
ঢাকার উত্তাল রাজপথে ১৯৭১ সালের ১৪ মার্চ ছিল এক ব্যতিক্রমধর্মী চিত্র। মাঝিমাল্লারা সব বইঠা হাতে নেমে এসেছিল রাজপথে। সেদিনের রাজপথ ছিল মাঝিমাল্লাদের দখলে। ১১৫ নম্বর সামরিক ফরমান জারির প্রতিবাদে সেদিন বেসরকারি কর্মচারীরাও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দেশের জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে শি
‘বাংলাদেশের সংগ্রামী জনসাধারণ এ কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণ করিয়াছেন যে বাঙালীকে আর শোষিত ও অবদমিত রাখা যাইবে না। গত রবিবার রমনা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়াছেন, তাহাতে প্রতিফলিত হইয়াছে মুক্তিপাগল প্রতিটি বাঙালীর মনোভাব। পূর্ব বাংলার মাটি হইতে এখনো শহীদের রক্তের দ
বঙ্গবন্ধুর আগের দিনের স্বাধীনতার ডাক ও সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশে একাত্তরের ৮ মার্চ পাল্টে যায় পুরো দেশের চিত্র। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে শুরু করে বাঙালি। আগের দিন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার না করায় স্বাধীনতার নেশায় পাগল বাঙালি ক্ষোভে
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে জাতির পিতার ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই ভাষণ জনগণকে শুধু অনুপ্রাণিতই করেনি, গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে এবং তাদের স্বাধীনতাও এনে দিয়েছে। এটাই ছিল সবচেয়ে বড় কথা।’
১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চের যে দিন বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, তার আগের দিনই বঙ্গবন্ধুর জনসভায় যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ঢাকার দিকে আসতে থাকেন। ওই দিন, অর্থাৎ ৬ মার্চও হরতাল-অসহযোগ আন্দোলনে উত্তাল ছিল পুরো দেশ। পরদিন ‘জুলুমের জিঞ্
৫ মার্চ ছিল একাত্তরের উত্তাল মার্চের পঞ্চম দিন আর স্বাধীনতাকামী জাগ্রত বাঙালির লাগাতার হরতাল-আন্দোলনের চতুর্থ দিন। ঢাকাসহ সারা দেশে পূর্ণ হরতাল, স্বাধিকারকামী জনতার বিক্ষুব্ধ মিছিল, গণজমায়েত ও শপথের মধ্য দিয়ে বাংলার মুক্তি আন্দোলনের দিনটি অতিবাহিত হয়। বিভিন্ন স্থানে ক্ষুব্ধ জনতা পাকিস্তানি পতাকা ও
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে মার্চ মাস অসংখ্য অগ্নিঝরা ঘটনাপ্রবাহে স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ১ তারিখে পাকিস্তানের সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আকস্মিকভাবে এক বেতার ভাষণে তাঁরই পূর্বঘোষিত ৩ মার্চের গণপরিষদ অধিবেশন স্থগিত করেন। অধিবেশন স্থগিত করার কারণ হিসেবে ভাষণে ইয়াহিয়া উল্লেখ